উচ্চতা ৬ ফুট ১ ইঞ্চি। ফর্সা। নব্বইয়ের দশকে ক্রিকেট দুনিয়ার অন্যতম অলরাউন্ডার এবং কিংবদন্তি অধিনায়ক। এর পর কোনও নারী তাঁর প্রেমে পড়বেন না, তা হয় না কি! ৬৫ টা বসন্ত পার করা ইমরান খানের জীবনে এক বার নয়, একাধিক বার প্রেম এসেছিল। তাঁরা কারা?
সত্তর বা আশির দশকে বলিউড ডিভা জিনাত আমানের সঙ্গে নাকি ইমরানের দেখা হয়েছিল। শোনা যায়, সেই সাক্ষাতের পানি অনেক দূর গড়িয়েছিল। তবে, খুব একটা প্রকাশ্যে আসেনি ইমরান-জিনাতের প্রেম পর্ব।
এর পরে, ইমারনের জীবনে আসেন ব্রিটিশ সাংবাদিক জেমিমা গোল্ডস্মিথ। বিয়ে করেন ইমরানকে। ধর্মান্তরিত হয়ে পাকিস্তানে চলে আসেন জেমিমা। তাঁদের নয় বছরের দাম্পত্য জীবনে দুটি সন্তানের জন্ম দেন জেমিমা। কিন্তু সেই সম্পর্ক ২০০৪ সালে ছিন্ন হয়।
পাকিস্তানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর সঙ্গে ইমরানের ঘনিষ্ঠতা শুরু হয়েছিল খুব কম বয়স থেকেই। ইমরানের আত্মজীবনী থেকে জানা যায়, তাঁর সঙ্গে বিয়ে দিতে জুলফিকারআলি ভুট্টোর পরিবারও আগ্রহী ছিল। তবে, সময়ের সরণিতে ভাগ হয়ে যায় তাঁদের চলার পথ। আর কোনওদিন সেই পথ মেলেনি।
এর পরে ২০১৫-তে পাক বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সাংবাদিক রেহম খানকে বিয়ে করেন ইমরান। মাত্র ৯ মাস টিকে ছিল তাঁদের সম্পর্ক।
এরপর তৃতীয় বিয়ে করলেন ইমারান খান। পাত্রী তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু ও ধর্মগুরু বুশরা মানেকা। ৬৫ বছর বয়সে ফের নতুন করে বসন্ত এলো ইমরানের জীবনে।
এসব বিয়ের বাইরে একাধিক নারীর সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে ইমরান খানের। পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়ার মতোই যৌনদানব হিসাবেই পরিচিত। নিজ দলের নারী নেত্রীদের নিয়মিত বিছানায় নিয়েছেন। তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক না গড়লে কাউকেই তিনি দলের পদ-পদবী দেননি। তাই পাকিস্তানের নির্বাচন শেষে প্রধানমন্ত্রী হবার দৌঁড়ে এগিয়ে থাকা ইমরান খানকে যৌনদানব বলতেও কেউই দ্বিধাবোধ করছেন না।